প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'দেশের সব মহাসড়কে টহল জোরদার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিন (র্যাব)। সেইসঙ্গে বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারি। মহাসড়কে ডাকাতি বন্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।'
-র্যাবের মুখপাত্র বলেন, ডাকাতি করে এর আগে যারা আইনের আওতায় এসেছে এবং যাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে, তাদের বর্তমান অবস্থান ও পেশাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রাখছে র্যাব। ব্যাটালিয়ন পর্যায়েও ডাকাতি রোধে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান। সম্প্রতি কিছু ডাকাতির খবর গণমাধ্যমে এসেছে। মহাসড়কে ডাকাতি বন্ধ এখন জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। এ কারণে সীমিত জনবল নিয়েও সারাদেশে টহল জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখাও এ নিয়ে কাজ করছে। র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, ডাকাতদের যদি পুনর্বাসন করা যায়, তাহলে এ ধরনের অপরাধ কমে যাবে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার, সুন্দরবনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ৪০৫ ডাকাত র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।
-র্যাব জানায়, ১০-১২ জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্রটি কয়েক বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও, রূপগঞ্জ ও আড়াইহাজার এলাকার বিভিন্ন মহাসড়কে নিয়মিতভাবে ডাকাতি করে আসছে। তারা পেশায় কেউ গার্মেন্টসকর্মী, গাড়িচালক, হেলপার, আবার কেউ রাজমিস্ত্রি বা কাপড়ের দোকানের কাটিং মাস্টার।
র্যাবের টহল জোরদার দেশের সব মহাসড়কে
দিনে নিজ নিজ পেশায় নিয়োজিত থাকলেও বিভিন্ন সময় তারা সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতিতে অংশ নেন। গ্রেপ্তার মুসা র্যাবকে জানান, তিনি ১০-১২ বছর ধরে বিভিন্ন মহাসড়কে ডাকাতি করে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বেশ কয়েকটি ডাকাতি করেছে তার দল। তার নামে একাধিক মামলা রয়েছে।
-এর আগেও তিনি ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার সহযোগী শামিম ডাকাতিতে ব্যবহৃত বাসটি চালান। ২০০৬ সালে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে তিনি সাত বছর কারাভোগ করেন। গ্রেপ্তার রনি ওই বাসটির হেলপার। নাঈম পেশায় গাড়িচালক। আর মামুন স্থানীয় একটি সেলাই কারখানায় কাটিং মাস্টার হিসেবে কাজ করেন।